এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

শুভঙ্কর পাল


-: কবিতা : সাধারণ বিভাগ :-



নৌকা বিষয়ক

ফেরিওয়ালা আজ কিছুটা রোদ ফেরি করে যেও
সন্ধ্যে নামার আগে কুয়াশা কেটে যাবে
বই থেকে চোখ কে কার আদর ছুঁয়ে নেয়
জানি পাইন ভীষণ প্রিয়
প্রিয় ফুল লিখে দিলে পাহাড়ে গুরাসের লাল
ম্যাজিক লন্ঠন ও কবিতার পাঠশালা হাতে একবার এসে বসাও
যে মেয়েটি প্রেমের জন্য কবিতা লিখতে এসেছিল সবকটি খাতায় দেবদারু ভরে ওঠে
শুধু নৌকো নিয়ে একটা গল্প বাকি থেকে যায়




-: গল্প : অণু গল্প :-



কক্সিস ও উট

একি সকাল বলতে পারছি না এমন দিনে । ভাবছেন এ কেমন কথা । আরে কুয়াশা কেবিন থেকে ম্যাজিক লন্ঠন করে করে এই মাত্র দেখলাম সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে যে গানে বৃষ্টি নামে । নামের কথা যখন উঠলো তখন বলেই ফেলি মানুষটি নেহাত হিসেবের ধার ধারেন না  , ধারালো অন্য ব্যাপার না হলে জীবনে লিখতেন । এক্স বলে অংক হয় মানুষ কিন্তু একটি চরিত্র মাত্র তাকে বরং ওয়াই বলতে পার কেননা কক্সিস তাহলে বজায় থাকে ।

চশমা আর উসকো খুশকো চুলে লোকটিকে বেশ মানিয়ে যায় । চুরুট চুরুলিয়া চুন চুন খতমের পর আহা আহ্লাদ মেখে গদ্য লেখেন  এক ভার্সেটাইল ঢংএ  । ঢং ঢং ঢং ঘন্টা বেজে চলে পাঠকের মস্তিকে...না কোন ট্রেন ট্রেন্ড নয়  বর্ণগুলো শুধুই লাটিমের মতো ঘুরে ফিরে আসে যেভাবে পৃথিবী চক্কর কাটে ।

যা বাবা ! হেব্বি বললে তো । বরাবর বয়স লুকোতে চায় ছেলের মা । ওর তো বিয়ের বয়স ঢের দেরী । তাই বলে বসে তো থাকা যায়না । যা মতিগতি কবিতা কবিতা করে গোল্লায় গেছে । দেখছেন তো লাটিমও হার মানে ওর চরকির চরকা বাজিতে । গোল্লা বললেই গোল্লাছুট উঁকি মারে । ওই বয়সে লিঙ্গের পার্থক্য খুব একটা বিষয় ছিলো না । বরং চুলোচুলি করতে করতে কখন যেন লজ্জারা জন্ম নেয় । আজ সামনা সামনি ওর বুকের দিকে তাকাতেই লজ্জা লাগে । একটু সুড়সুড়ি যে লাগেনা তা নয় । বরং আজ কবিতায় লিখি ওর গায়ে প্রজাপতি গন্ধ জেগে আছে । জানি ওর মা জন্মের ভিতরকার মেয়েটি আমাকে গল্প লিখতে বলে । একটি পুরুষ জন্মের ভিতর  কিভাবে উট হয়ে ওঠা ।


শুভঙ্কর পাল
আলিপুরদুয়ারে ডুযার্সের প্রান্তসীমা বারবিশা আমার বেঁচে থাকার বাস ভূমি । আসলে বেঁচে থাকার জন্য কবিতা গল্প লেখা পড়া । আর বিভিন্ন লিটিল ম্যাগ ই ম্যাগ এ লিখে বেড়ায় । হিরণ্য গর্ভ পত্রিকার সম্পাদক । এছাড়া কবিতা করিডোর ই ম্যাগ সম্পাদনা করি

No comments:

Post a Comment