এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

তুষারকান্তি রায়


কবিতা : সাধারণ বিভাগ


অনর্থ

ধরো আঘাতেও বাজলো না সপ্তসুর,
প্রাসঙ্গিক শব্দের খানা -খন্দে
নাছোড় রাশিফল, জল, বয়স! স্তব্ধ সন্ধ্যার মুহূর্ত
জনতা এক্সপ্রেস? সে তো দেরি করেই আসে, তবু দ্যাখো
তার পাঁজর ভর্তি যুবমেঘের হুল্লোড়, ডানাখোলা শ্রাবণ
সংক্রান্তির গমগম কথোপকথন ,
ওরা কি ইউক্লিডের  উপপাদ্য জানে! মহুয়া ফুলের গন্ধ!
আমি দশকথার হাওয়াগাড়ি চালাই, বাঁকের পর বাঁক
পেরিয়েও বাঁকের নেশা যায় না,
বনগন্ধে ভরপুর,  অর্গান বিধুর ।
সোনামন! তর্ক কোরো না
এসো আসন্ন মল্লারের
পাঠ্যবিষয়ক  উপাখ্যান প্রস্তুত করি!
গূঢ় বার্তার স্বর-ব্যাঞ্জনে
লিখে রাখি অনর্থ , কথাপুরের মাজাকি,
ভাঙচুর,  আর  শৃঙ্খলাহীনের সংহিতা ,
দ্যাখো  আকাশে বিষবৃক্ষের চাঁদ





এবং ভূমিকা 

প্রসঙ্গ তো ছিলই! আসলে তোমাকে শঙ্খলাগা নতুন শতকে নিয়ে যাবো, রাধারানী!
চৈত্রও যে মূর্তমান কবিতা সমগ্র সেকথা বোঝাবো । গৃহস্থ ময়ূরের পালকেও বয়স্ক -সময়  লেখা থাকে । তুমি কি দেওয়াল ঘড়ির গায়ে আঙুল ফুটিয়ে দেখেছো? নবপানিনি?  অপ্রত্যাশিত ভূমিকার বাইরে দ্যাখো  , কেমন মেঘ করেছে! তোমার ভেতরে ' নিদ নাহি. . . ' শোনার  অপেক্ষায় চতুর্দশীর চাঁদ প্রকাশিত হোক!
প্রাসঙ্গিক শব্দের মধ্যে দরিদ্র ব্রাহ্মণের বেশে ট্রামের ঘন্টা আলো বাজিয়ে চলে গেছে, কতকাল! তোমার মুখোমুখি বসে আছে বাক্য প্রাণহীন  অপূর্ব নিঃসঙ্গতা. . . মাত্রাহীন হতাশ  অক্ষর , আর কীট-দগ্ধ  অলৌকিক পদাবলী খুলে রাখা নির্মম মহাকাল

তুষারকান্তি রায় 
দেশ  ,কৃত্তিবাস, নতুন কৃত্তিবাস, কবি সম্মেলন, আজকের সম্পূর্ণা, আজকের উত্তমা সহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয় । এখন যুগশঙ্খ পত্রিকার ব্যক্তিত্ব বিভাগে নিয়মিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে

আমার প্রকাশিত বই
১। সৃজন তুমি লিখতে পারো না তো : প্রতিভাস
২। আলাপী শিশির : প্রতিভাস
৩। বাউলের বারোকথা : আনন্দের সিগনেট
৪। অকাল কিশোর : পাঠক
৫। সন্ধ্যা তারার গন্ধ : সপ্তর্ষি প্রকাশন
৬। কিউমুলোনিম্বাস : সুতরাং


No comments:

Post a Comment