এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

মানসী মন্ডল


 -: ছড়া :-



রোজগের

রোদের থেকে কত্তা এসে
হাঁক দেন হেঁড়ে সুরে ----
গিন্নি তুমি কোথায় গেলে,
আছ বেশ মজা করে।
গতর খেটে আনব রোজ
ঘরের দানাপানি---------
ছায়ায় বসে খুন্তি নেড়ে
হয়ে থাকো পটের রানী;
জলের গেলাস এগিয়ে দিয়ে
গিন্নি থাকে ফুঁসতে,
একই কথার চাঁট যে রোজ,
ভাল্লাগে না শুনতে।
বলার উপায় কিচ্ছুটি নেই
তিনি কত্তা রোজগেরে!
উঠতে বসতে এই কথাটি
শোনান শুধু হাতনেড়ে।
ঘরের কাজের খুঁটিনাটি
নেইকো হিসেব নিকেশ,
রাতদিন খাটিয়েও গতর
কাটে না কাজের রেশ।
রাত ভোর থেকে রাত দুপুর
হাঁপিয়ে মরিও যদি-----
দেয়না এগিয়ে ভাতের থালা
কিংবা জলের ঘটি!
গিন্নি যখন রোজগার ক'রে
ফেরে দিনের শেষে;
জলের গ্লাস  কেউ কখনও
দেয় কি ভালবেসে?
ঘর বার সব সামলে রেখেও,
রাখে না মনে আশ,
হাসি মুখে স্নেহ মাখায়ে,
খেটে চলে ফরমাশ।
কত্তা কী আর বোঝে কখনও
অলটাইম সার্ভিস!
ডিউটি আওয়ার খতম হলে,
ঘুমিয়ে মারেন আলিস।।


হাইটেক প্রেম

বাঁশাীর সুরে শ্যাম সোহাগী যায় না ছুটে আর,
কানু ছোড়া বংশী ফেলে ধরেছে সফটওয়ার!
ফোনের ডাকে রাধের আমার মন যে উচাটন
উঠতে বসতে প্রেমের এখন ওটাই গুপ্ত ধন।

অভিসারে যেতে এখন লাগে নাকো সাধন,
অনলাইনে খুব সহজেই মেটে মনের মতোন।
উঠতি যারা ভাবে তারা এটাই আসল জীবন,
নাওয়া খাওয়া ভুলে তাই ফেসবুকেতে মন।

কানুর বাঁশীর মধুর ধ্বনী যায় না শোনা আর;
উপড়ে ফেলে সাফ করেছে বাঁশের যত ঝাড়।
সেই স্থানেতে উঠছে গড়ে, নতুন স্কাইস্ক্রেপার
কুঞ্জ ফেলে সবাই সেথায় করছে অভিসার।।

মানসী মন্ডল
গ্রাম+ পোঃ-- দাসকলগ্রাম
জেলা- বীরভূম
থানা- নানুর
৭৩১৩০২

No comments:

Post a Comment