এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

স্বপ্না মিদ্যা


কবিতা : সাধারণ বিভাগ


সদ্য প্রেম

সুদীপ্তা একাদশ শ্রেণী
শুভঙ্কর রোজ-ই বলে..
কতটা ভালোবাসো আমাকে?

রাত কথারা রাত জাগিয়েছে
ও এখনো রাত জাগে,
ভালোবাসা ভাবিয়েছে কত!
আজও ভাবায়,

এক সময় চার বান্ধবীর মধ্যমণি ছিল সে..
ওর গানের গলা কঠিন হৃদয়েও প্রেম আনতে পারতো,
তারপর হঠাৎ এল শুভঙ্কর।
ও বলতো তোমার চোখদুটো পাগল করে.....
ওর কথায় ডুব দিয়েছে বারবার।

বান্ধবী দের হাজার মানা হিংসা বলে প্রমাণ করেছে
সদ্য প্রেমে সে ভুলেছিল বাস্তব।

তুলী বলেছিল বলে দেবে বাড়িতে
একটা চড় বসিয়েছিল গালে,
বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তির্ণ হবে সে
প্রমাণ সাপেক্ষ শরীর দেবে শুভঙ্করকে

টেস্টের আগে স্কুলে যাবার নামে অদূরে হারিয়েছিল
মোটোরসাইকেলের পিছনে বসে।
ওকি বুঝেছিল এটা শুধুই ফাঁদ,
আজকের পর থেকে এই বিশ্বাসের কোনো দাম নেই,
বুঝেছিল কি গোপন ক্যামেরাটা...
বিষাক্ত করছে ওর ভালোবাসা একটু একটু!

এখন সে স্মৃতিগুলো আগলাই মধ্যরাতে
মনেপড়ে তুলী, দীপা,সরমার কথা,
মনেপড়ে শুভঙ্করের সেই নিখুঁত অভিনয়।

সুদীপ্তা এখনো রাত জাগে....



ছিদ্র মাত্র

রাত তখন ১২ টার কাঁটায়
এক পৌষে শীত
হঠাৎ অন্ধকারের বুকচিরে
কান্নাবান ছুঁড়েছিল সদ্যজাত...
ধাই-মা চিৎকার করে বলেছিল
তোর মরন হয়না অভাগী!
ঘরে কেবল তিনটি নিশ্বাস
আর সবকটির গতি দ্রুত....

সন্তানকে কোলে নিয়ে
হাসি কান্না মিশে ছিল,
এ তার প্রথম সন্তান...
বুকের ভিতর একটা পাথর চেপে
চুমু খেয়েছিল কপালে।

সকালের সোরগোলে একটাই শব্দ
ও বৌ ছেলে না মেয়ে?
ধাই চোখ মুছে নিঃশব্দে ফিরেছে বাড়ি।
সন্তান কোলে করেছে শুধুই অশ্রুমোচন,
ও কিকরে বলে লিঙ্গ নয় শুধুই ছিদ্রমাত্র।

স্বামী -শাশুড়ির আড়ালে রাখাযায় কতক্ষণ?
বুঝে ফেলল সবাই......
আত্মীয়দের মিষ্টিমুখ কঠিন সুপুরি হয়েছিল মুহুর্তে।

বলাই বের কর দেখি হিজড়াটাকে!
কেউ বলেছে রাক্ষসী টাকে চুলের মুটিধরে বাপের বাড়ি রেখে আয়,
খালের জলে ফেলে আয় বলেছে কেউ কেউ।

হাসির ফোয়ারা উঠেছিল পাড়ায়
শুধু কেঁদেছিল দুটো প্রাণ।

******
ফটোগ্রাফি






****

একটি প্রতিবেদন : একটি প্রতিবাদ


কবি দোলা ঘোষালের আর্তনাদ

প্রতিবেদন -স্বপ্না মিদ্যা(ডায়মন্ড হারবার,দক্ষিণ ২৪ পরগনা) ১লা জানুয়ারি,  নতুন বছরের  আহ্বান এ যখন শহর ব্যাস্ত ঠিক সেই সময় শহরের আনাচে কানাচে ঘটে যায় কিছু অপরাধ। রাত তখন প্রায় ১০টার কাটায়,রাতের খাবার শেষ করে ফোনের ইন্টারনেট কানেক্ট করে হোয়াইটঅ্যাপস এ গিয়ে শুনতে পাই কবি দোলা ঘোষালের আর্তনাদ।প্রথমটায় গুরুত্ব না দিলেও রাত ১০টা ৩০ নাগাদ সাহিত্য সংক্রান্ত কিছু গ্রুপে একই ম্যাসেজ ভেসে আসে  "forget about dola mam"এসব দেখে রিং করি কবিকে।
ফোনের ঔ পাশে শুনতে পাই কান্নাভরা গলাতে কবি বলছেন..." আমার বাড়িওয়ালা আমার ঘরের জল বন্ধ করেদিয়েছেন।আমার বৃদ্ধা মা জল বইতে পারছেন না,থানাতে ফোন করছি কেউ সাড়া দিচ্ছেন না। আমি মরতে বসেছি আমাকে সাহায্য করুন।
২রা জানুয়ারি ২০১৮,
ঘটনার সত্যতা জানতে সকাল১১.৪৫নাগাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি উক্ত বাড়ির সামনে লোক জমায়েত, একটি ম্যাটারোতে গুছানো হচ্ছে আসবাব, এক বৃদ্ধা মহিলাকে প্রশ্ন করে জানতে পারি উনি দোলা ঘোষালের মা। সময় কম দেখে ওখানে বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলতে যাই,বাড়িওয়ালার মা রীতিমত কটু ভাষায় মহিলাকে সম্ভাষন করছেন।
বাড়িওয়ালা বললেন "আমি যা বলবো কোটে বলবো, দোলা ম্যাডামকে বলবেন Case তুলে নিতে নাহলে ভাগ্যে দুখঃ আছে"।
এখানে বলে রাখা ভালো, বাড়ির মালিক সন্দীপ সেনগুপ্ত একটা ঘরদেখে সকাল সকাল দোলা ঘোষালকে সেই ঘরে রেখে আসেন।
আসবাব সহ ১২.৪৫ নাগাদ আমরা পৌঁছাই সেই বাড়িতে।
সেখানে কবি দোলা ঘোষালের সাথে দেখা হয়,
হুইল চেয়ারে বসে আছেন।
পরে জানতে পারি ১৯বছর বয়েসে উনি অসুস্থ হন,শরীরের নীচের অংশ কাজ করেনা সেই থেকেই, কোমরের উপরের অংশ ও অকেজো, হাত দুটো সামান্য কাজ করে!
ঘটনার আপাদমস্তক জানতে আমি প্রশ্ন করে জানতে পারি---জুলাই মাসে তিনি ওই বাড়ি ভাড়া নেন এগ্রিমেন্ট ও একমাসের আগাম ভাড়া ১০,০০০টাকা দিয়ে।অবস্য উনি কনো এগ্রিমেন্ট দেখাতে পারেননি, কারণ হিসাবে বলেন যে উনি এগ্রিমেন্ট করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সন্দীপ বাবু বলেন এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। পরে জানান তিনি ডাইরির পাতায় লিখে সই করিয়ে নিয়েছিলেন।
তারপর, ভাড়াদেবার কিছুদিন পরে থেকেই নাকি শুরু হয় বচসা। সেপ্টেম্বর এ  বাড়িভাড়া মেটাবার সময় সন্দীপ বাবু নাকি বলেন এ বাড়ি ছাড়তে হবে আপনারা উঠে যান, কবি সেই কথার প্রতিবাদ করায় হয় বিপত্তি।
অক্টোবর ও নভেম্বরের ভাড়া সময়ে না নিয়ে পরে ভাড়া চাইলে কবি দিতে পারেন না। এরি মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর জল বন্ধকরাকে কেন্দ্র করে ১জানুয়ারি ২০১৮ রাত১২টা নাগাদ পুলিশ আসে এবং প্রায় ৫০জন লোকের সামনে কবি দোলা ঘোষালের  বৃদ্ধা মাকে অপমান করেন।পরে জানতে পারি এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কবি থানায় ডাইরি করেন ও কয়েকদিন থানায় যান। আরো জানা যায় সন্দীপ বাবু রাতে মদ্যপ অবস্থায় কবিকে শাসিয়ে যান।
এমত অবস্থায় কবি সাহায্য চায় সকল সাহিত্য প্রেমীদের কাছে কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কেউ পাশে দাঁড়াননি।তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য--কবি ইমরান শাহ্‌ (বাংলাদেশ)
কবি শাল্যদানী রুপম(নৈহাটি)
কবি অপর্না ব্যানার্জি(বোলপুর)
কবি দোলা ঘোষাল জানিয়েছেন তিনি এই লড়াই চালিয়ে যাবেন।

ছবি ও সাপোর্টিভ ডকুমেন্টস


দোলা ঘোষাল

ওনার মা








*****
স্বপ্না মিদ্যা
ডায়মন্ড হারবার,
দক্ষিণ ২৪ পরগণা,বর্তমান কলেজ ছাএি
কবিতা লেখা ও আবৃত্তির সাথে যুক্ত।

No comments:

Post a Comment