কবিতা : সাধারণ বিভাগ
রেখে গেলাম সোনালী ধান মাঠে
সবুজ পাতায় লাগলো আজি
হলুদ রাঙা আবির ছটা,
ওলো বউ আয় ফিরে আয়
দেখলো মনের রঙের ঘটা।
উঠান পাড়ের লাল জমিটা!
দেখলো কেমন রঙিন আজি,
সোনায় সোনায় ভরা উঠান,
আজকে আমি কাজের কাজি।
বাজার থেকে আনছি কিনে,
হলুদ পাড়ের সাদা শাড়ি ,
ওলো বউ আয় ফিরে আয়
তুই এলে হয় পূর্ণ বাড়ি ।
নিত্য গাঁ-এ গানের আসর
রঙে রঙে রঙিন বাসর
মনটা থাকে পরে, আয় ফিরে বউ ঘড়ে
তুই ছাড়াকী গান শুনিয়া প্রাণটা আমার ভরে !
জোছনা রাতে গ্রামটি যখন ঘুমে
কলাই দূর্বায় শিশির ঝরে চুমে,
রূপা ঝরা রাতে তুমি-আমি,
চাতক ডাঙার মাঝে চলে যাই,
বিশ্ব ভুবন স্বপ্নে মাখামাখি,
বিশ্ব ভুবন স্বপ্নে মাখামাখি,
তুমি-আমি ভিন্ন কেহ নাই।
দূর আকাশে মেঘের ভেলায় চাঁদ
বাঁধা গ্রাম , বৃক্ষ সারি-তুষার ঢাকা গিরি।
তুমি-আমি মেখে চাঁদের আলো
স্বপ্ন হয়ে স্বপ্ন পাখায় উড়ি।
নীল আকাশের মেঘের ভেলায় ভেসে
মিশে-মিশে, মেঘের পথে শূন্যে চলে যাই ,
আনন্দেতে গঙ্গা ধারা বয়...
আজ, তোরি শোকে শিশির ঝরে যায়।
শূন্য ভীষণ শূন্য বঁধু , আয়রে ফিরে আয়।
প্রভাত ভোরে শিশির ভেজা পায়ে
দূর্বা দলে তিলকে চলে যাই,
আমি কাঁটি তিলের ছড়া, তুমি বাঁধো আটি
মমকলাইয়ের ছরা তুলি , শর্ষের কাঁটি ডাঁটি।
আজকে সবাই ফসল তোলে ঘরে
আমার ফসল শূন্য মাঠে পরে,
আয়না'লো বউ, যতন করে তোল এ ফসল ঘরে ।
তুই ছাড়া যে নিঃস্ব আমি, রিক্ত চরাচরে।
কারো ফসল মাণিক পেলো
কারো হলো চিটা!
কারো ফসল তুললো গোলায়
খেলো রসের পিঠা।
কেউবা সোনার ধান ফলালো
ইঁদুর নিলো শুষে ,
কারো বঁধু যতন করে...
তুললো ঢেলায় বসে।
আমার ফসল সোনা মুখো
ক্ষেতে নতুন গান,
আয়লো বঁধু বুকের পাঁশে
প্রাণকে দান প্রাণ ।
বিলে ফোটে শাপলা আজো
পদ্ম তেমন হাসে,
ডিঙে বাঁধা, আমি বসে
বঁধু তোমার আশে।
ঝিলে বিলে নেইকো ভরা জল,
গাঙেতে নেই জলের ছলাক-ছল।
শ্যাওলা সালুক বিলে মাখামাখি
নীলাভ জলে খেলে পুঁটির দল।
মন টানেনা বউলো, " মাঠে যেতে "
চালন, ঘুনীর মাছ ধরিনা আর।
ছেলেরা সব খলখলিয়ে যায়,
অলখ চেয়ে অশ্রু ভারে চক্ষু থাকে ভার।
বিলে এখন মাছের মাতম চলে,
শুনলাম নাকি পোলোতে খুব মাছ পরেছে ধরা
পোলো নিয়ে সাতসকালে সবাই ছুটে যায়
কার তরে মাছ ধরবো আমি ! ছেড়েছি মাছ ধরা।
খিঁচুনি পেতে বেড়ি দিয়ে মাছ ধরে দল বেঁধে
প্রাণ প'রে র'য় , মন সরে না সেথা।
ঘোলা জলে পুঁটির ফালাফালি! ছেলে ছোকরা হল্লা দিয়ে ওঠে,
তুমি হীনা পাইনা কিছু ভেবে, সোনালী দিন ঝরা পাতায় বৃথা!
সোনালী রোদ ফিকে হয়ে আসে,
গাঁ চুমিয়া শিশির বসে ঘাসে।
মাঠে মাঠে ফসল তোলে ব্যস্ত নরনারী
শর্ষের মাঠ, মন্দির মঠ , কুয়াশা দেয় ঢেকে...
শাদা আকাশ পশ্চিম পারে রক্ত আবীর রেখা
সুদূর পানে বকের সারি মেশে।
দুইটা বাদুড় ডানা মেলে শূন্যে ভেসে যায়,
কেঁউ বা বেঁকে চলছে অচিন দেশে...
সূর্জ গেছে পাটে, মন্দিরেতে কাঁসর ঘণ্টা বাজে
নববধূ দ্বীপ জ্বেলে মন্দিরে, দীপালোকে মুখটি ওঠে ভেসে।
নবান্নতে ধূম লেগেছে পাড়ায় , আমার ঘরে আঁধার কালো রাতি
আয় বধূ তুই ফিরে, হ-তুই আমার আলোক ঝরা সাথী ।
আলো আঁধার রাত,চন্দ্র ডুবু ডুবু
ছোট্ট ডিঙা , আমি একা, দখিন স্রোতে ভাসি,
মন পড়ে রয় সোনা ঝড়া মাঠে, নিরস স্রোত
বোঝে না মন , ডিঙে চলে আপ্ন বেগে ভাসি...
ছলছলিয়ে নৌকা ভেসে যায়, নদীর মোহনায়
সোনার ফসল, সোনালী মাঠ থাকে পিছে পড়ে
যত্নে গড়া আমার সোনার ধান,
যতন করে নিস বধূ তুই ঘরে।
দূর আকাশে ডুবলো রাতের চাঁদ
উঠবে ভেবে অন্য আকাশ জুড়ে ,
শেয়াল পাঁড়ে ডাকছে থেকে থেকে
কুহক ডাকে, বাণ ডেকেছে দূরে।
যেতে হবে, যাচ্ছি বধূ চলে
নদীর দুকূল সবুজ ঘেরা বন ।
আমি ছিলাম যেও নাকো ভুলে,
তোমার তরে জাগবে সদা-ই মন।
দূর আকাশে মেঘের ভেলায় চাঁদ
বাঁধা গ্রাম , বৃক্ষ সারি-তুষার ঢাকা গিরি।
তুমি-আমি মেখে চাঁদের আলো
স্বপ্ন হয়ে স্বপ্ন পাখায় উড়ি।
নীল আকাশের মেঘের ভেলায় ভেসে
মিশে-মিশে, মেঘের পথে শূন্যে চলে যাই ,
আনন্দেতে গঙ্গা ধারা বয়...
আজ, তোরি শোকে শিশির ঝরে যায়।
শূন্য ভীষণ শূন্য বঁধু , আয়রে ফিরে আয়।
প্রভাত ভোরে শিশির ভেজা পায়ে
দূর্বা দলে তিলকে চলে যাই,
আমি কাঁটি তিলের ছড়া, তুমি বাঁধো আটি
মমকলাইয়ের ছরা তুলি , শর্ষের কাঁটি ডাঁটি।
আজকে সবাই ফসল তোলে ঘরে
আমার ফসল শূন্য মাঠে পরে,
আয়না'লো বউ, যতন করে তোল এ ফসল ঘরে ।
তুই ছাড়া যে নিঃস্ব আমি, রিক্ত চরাচরে।
কারো ফসল মাণিক পেলো
কারো হলো চিটা!
কারো ফসল তুললো গোলায়
খেলো রসের পিঠা।
কেউবা সোনার ধান ফলালো
ইঁদুর নিলো শুষে ,
কারো বঁধু যতন করে...
তুললো ঢেলায় বসে।
আমার ফসল সোনা মুখো
ক্ষেতে নতুন গান,
আয়লো বঁধু বুকের পাঁশে
প্রাণকে দান প্রাণ ।
বিলে ফোটে শাপলা আজো
পদ্ম তেমন হাসে,
ডিঙে বাঁধা, আমি বসে
বঁধু তোমার আশে।
ঝিলে বিলে নেইকো ভরা জল,
গাঙেতে নেই জলের ছলাক-ছল।
শ্যাওলা সালুক বিলে মাখামাখি
নীলাভ জলে খেলে পুঁটির দল।
মন টানেনা বউলো, " মাঠে যেতে "
চালন, ঘুনীর মাছ ধরিনা আর।
ছেলেরা সব খলখলিয়ে যায়,
অলখ চেয়ে অশ্রু ভারে চক্ষু থাকে ভার।
বিলে এখন মাছের মাতম চলে,
শুনলাম নাকি পোলোতে খুব মাছ পরেছে ধরা
পোলো নিয়ে সাতসকালে সবাই ছুটে যায়
কার তরে মাছ ধরবো আমি ! ছেড়েছি মাছ ধরা।
খিঁচুনি পেতে বেড়ি দিয়ে মাছ ধরে দল বেঁধে
প্রাণ প'রে র'য় , মন সরে না সেথা।
ঘোলা জলে পুঁটির ফালাফালি! ছেলে ছোকরা হল্লা দিয়ে ওঠে,
তুমি হীনা পাইনা কিছু ভেবে, সোনালী দিন ঝরা পাতায় বৃথা!
সোনালী রোদ ফিকে হয়ে আসে,
গাঁ চুমিয়া শিশির বসে ঘাসে।
মাঠে মাঠে ফসল তোলে ব্যস্ত নরনারী
শর্ষের মাঠ, মন্দির মঠ , কুয়াশা দেয় ঢেকে...
শাদা আকাশ পশ্চিম পারে রক্ত আবীর রেখা
সুদূর পানে বকের সারি মেশে।
দুইটা বাদুড় ডানা মেলে শূন্যে ভেসে যায়,
কেঁউ বা বেঁকে চলছে অচিন দেশে...
সূর্জ গেছে পাটে, মন্দিরেতে কাঁসর ঘণ্টা বাজে
নববধূ দ্বীপ জ্বেলে মন্দিরে, দীপালোকে মুখটি ওঠে ভেসে।
নবান্নতে ধূম লেগেছে পাড়ায় , আমার ঘরে আঁধার কালো রাতি
আয় বধূ তুই ফিরে, হ-তুই আমার আলোক ঝরা সাথী ।
আলো আঁধার রাত,চন্দ্র ডুবু ডুবু
ছোট্ট ডিঙা , আমি একা, দখিন স্রোতে ভাসি,
মন পড়ে রয় সোনা ঝড়া মাঠে, নিরস স্রোত
বোঝে না মন , ডিঙে চলে আপ্ন বেগে ভাসি...
ছলছলিয়ে নৌকা ভেসে যায়, নদীর মোহনায়
সোনার ফসল, সোনালী মাঠ থাকে পিছে পড়ে
যত্নে গড়া আমার সোনার ধান,
যতন করে নিস বধূ তুই ঘরে।
দূর আকাশে ডুবলো রাতের চাঁদ
উঠবে ভেবে অন্য আকাশ জুড়ে ,
শেয়াল পাঁড়ে ডাকছে থেকে থেকে
কুহক ডাকে, বাণ ডেকেছে দূরে।
যেতে হবে, যাচ্ছি বধূ চলে
নদীর দুকূল সবুজ ঘেরা বন ।
আমি ছিলাম যেও নাকো ভুলে,
তোমার তরে জাগবে সদা-ই মন।
দেশি পুটি,বিদেশী কাতলের সমান।দাদ আমাদের কাছে তেমনই সম্পদ।রবি আর নজরুলের কাব্য
ReplyDeleteআর আপনার কাব্য, আমার কাছে তাই মনে হয়।সাদ্দাম