কবিতা
অমাঙ্গলিক বাঁশির সুর
মায়াচ্ছন্ন সুর তার, মায়ায় মোহগ্রস্ততা
ডাক দেয় তার বেসামালি সুর
শীতকাতর জলের মত কম্পন জাগ্রত করে মনে
আর তার পর শুরু হয় অমঙ্গলের অভিসার-
কোনো এক পোড়োবাড়ির, ভগ্ন ইটের ধ্বংসাশেষে
আনাচে-কানাচে প্রেম মাখে সাত সুর
অবশেষে বেওয়ারিশ পদচিহ্ন আর-
ধূসর পাথরে রক্ত আলপনা।
গৃহকোনের মান ভেঙে, মূর্চ্ছা দিয়ে ঢোকে
বাঁশির সুর, অমঙ্গলের শনিও এবার আনন্দে ভাবে
নির্লিপ্তি অস্তিত্বে কামড় বসিয়ে দেওয়া যাবে।
জোৎস্না ফিরবে
ওপারের দগ্ধ-তপ্ত রৌদ্দুর হাত বাড়ায়
আকড়ে তোমায়ও পুরিয়ে দেবে বলে,
খন্ডিত তুমি দিও না বাধা
আশা রেখো জোৎস্না ফিরবে বলে
নিদারুণ কঠিন দূষিত আর্তনাদ
যতই হোক তোমার নিস্তেজ হুংকার
কালাজ্বড়ে আক্রান্ত থেকেও তুমি
শত ভাঙা আরশিতে দেখো নিজেকে
সম্পূর্ন পূর্ন করে,
ফিরিয়ে দিও জলন্ত সূর্যটাকে
মশাল মিছিল নিয়ে জোৎস্নার
চাঁদের আলোর রঙ নিয়ে তুমি
গড়ো তোমার নতুন অভিসার।
পায়েল পাসোয়ান |
No comments:
Post a Comment