এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

জয়জিৎ রীত



কবিতা




তোমায় হারিয়েছি অজয় নদীর বাঁকে


তোমায় হারিয়েছি অজয় নদীর বাঁকে
বয়ে গেছে জলের প্রবাহ তপ্ত বালিয়াড়িতে,
নিষিদ্ধ যাপনের ঝিনুক ক্যানভাসে কানাকানি হয়েছে বহু
তারা ভরা রাতের ক্যাম্প ফায়ারে বিনিময় হয়েছে লাল রুমাল।
জানি না আজ ও পাথরে বসলে তোমার হাসির ভুট্টা দানা পপ কর্ন হয় কি ?
কেমিস্ট্রি ক্লাসের মতো নাকি মৌলে মিলছিল তোমাতে আমাতে
গাঢ় সম্পর্কের কেলাসে মাঝে সাঝে মাদক বয়েছিল নিষিক্ত চুম্বনে।
ভালো জিনিসে মনে হয় লাগে মাঙ্গলিক যোগ
ছয় এ ছড়াক্কা মাসে চৌচিড় হয় মটরশুঁটি র বীজ--
কথায় আছে লাল চাঁদ দেখতে নেই প্রেমের প্রজাপতির,
তাই পরিহাসে প্রাপ্তি বোধয় ডানায় রক্তের ছোপ।
তোমায় হারিয়েছি অজয় নদীর বাঁকে
বয়ে গেছে জলের প্রবাহ তপ্ত বালিয়াড়ি তে....




বসন্ত ক্ষণে এলো প্রেম

আচ্ছা বসন্ত এলে প্রেম কেন আসে ?
তুমি বলবে আমি আছি তাই
কেন আমি কি শ্যাম অঙ্গ দুস্টু কানাই ?
তুমি বলবে ওই যে বাজাও বাঁশি সেটা কম কি
আমার মাথায় আছে কি ময়ূর পাখা ?
হয়তো আছে ময়ূর পঙ্খ কলমে !
তাতে কি ?
ওই যে আমায় নিয়ে খাতার পাতা ভরিয়ে ফেল
রোমাঞ্চ অনুভবে ছুঁইয়ে দাও,
পূর্ব রাগের আবহে দিন পাল্টাও অহরহ।
কেমন যেন পলাশ জাগানো মন্ত্র জানো মনে হয়
মনের নরম ওমে লুকানো ঘিয়ের প্রদীপে ঠিক আলো জ্বালাও,
ধীরে পড়ন্ত গলন্ত মোমে একটা আকর্ষণ তৈরি হয়।
ঢিমে ঢিমে তালে যেন নতুন নতুন ছন্দের এক ঘোর
তোমার দুই চোখের মোহন টান কম কি?
রৌদ্রে ও বৃষ্টির স্বাদ আনতে পারো
তোমার ভুবন ভোলানো হাসির বাণে বিদ্ধ হতে,
বারে বারে রাই হতেও পারি।



জয়জিৎ রীত

জটিল জীবনে গতিময় ছন্দ আনতে কবিতা যাপনে সুখ খুঁজে চলা । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে লেখা নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাক পাতার আড়ালে গল্পটা কেমন লেখা হয়।

No comments:

Post a Comment