এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

রবীন বসু




কবিতা



ক্ষুধার্তের ভাত

হাওয়ার মশারি থেকে যে ঘুম উড়ে গেল
স্লিপিং পিল তার ঠিকানা জানে?
জানে কি স্পিডপোস্টে আসা উপহার
আমাদের আগ্রহের কতটা কাছে?
যে অসভ্য লোকটা মেয়েদের উত্যক্ত করতে
করতে বাসে যাচ্ছিল, তার হাতের লাম্পট্য
শহর কলকাতা থেকে বাঁক নিয়ে শহরতলি হয়ে
মফসসলকে ছুঁয়ে দিতেই
তিন দফার পঞ্চায়েত ইলেকশন এসে গেল l
কবিরা এখন গ্রামমুখী
লিটারারি মিটে ব্যস্ত—
নুন খেয়েছেন, গুণ তো গাইতেই হবে l

কিন্তু নির্গুণ ওই হা-ভাত মানুষগুলোর
জঠরের জ্বালা রৌদ্রদগ্ধ দিনের মতই প্রখর l
প্রকট হল ভারতের অর্থনীতি l
কোন দিকে সে যে যাবে তা বোধহয়
অমর্ত্য সেনও জানেন না l যেমন জানি না আমরা
এত প্রতিশ্রুতি, এত ইলেকশনের পরও
মানুষ কেন পেটপুরে খেতে পায় না?
গ্রাম মহল্লা সর্বত্র কেন এত ভয়?
বিদ্বেষ-বিষ কারা ঢেলে দিচ্ছে মানুষের মনে?

হাতে হাত ধর বাংলা কবিতা
শহর গ্রাম পেরিয়ে সব পুরনো শিকড় ছুঁয়ে
নতুন নির্মাণের জলে ক্ষুধার্তের ভাত সিদ্ধ হোক !




শুকনো ডাঙা

জন্মঘোর কেটে গেলে গ্রীষ্মের চড়ুই পাখি
প্রচণ্ড দাবদাহ চিনে নেয় l
জ্বলন কী প্রচণ্ড ক্ষয় তা জেনে গেল
হরিদাস ছুতোরোর মেয়ে l
তুরপুনে ফুটো হয় আমাদের নিপাট সম্পর্ক
জলাভূমির শামুক জলহীনতায় শুকোয়,
মরবার আগে নিজস্ব লালা আর একবার
চেটে নেয় জীবনের রস l

সমস্ত আশ্লেয শুষে অনির্দেশ যাত্রায়
কোন খামতি নেই, তবুও কোথাও যেন
নিঃশব্দে চুপি চুপি মানুষ বড় একা হচ্ছে
জলহীন রসহীন শুকনো ডাঙা আমাদের ভবিতব্য হবে?


রবীন বসু

1 comment: