কবিতা
না -মানুষ ও অন্ধ সমাজ
বসে আছি
ব্যস্ত শহরের ফুটপথে
পিছন ফিরে ,একটা জীর্ণ গাছতলায়।
ঘরে থাকা গেল না।
বিশজন মানুষের আড্ডা চলছে জোর
আমি তো না-মানুষ -
সৌজন্য সয় না
কবিতার খাতা নিয়ে বেরিয়ে এসেছি তাই।
এখানে বিপদ কম,
সকলেই ব্যস্ত।
কেউ কারুর মুখের দিকে তাকাচ্ছে না-
আমার একান্তে থাকার সময়রা
আয়নায় থাকে
প্রতিফলন দেখে নিজেকে এঁকে নি,
সাজিয়ে , গুছিয়ে নি
তারপর ভিতর-ঘরে ঢুকে ঝুল ঝেড়ে
নতুন কাগজ পেতে পেতে
পুরনো শাড়ী নতুন শাড়ী সমস্ত
সাজিয়ে সাজিয়ে
পাটে পাটে, খাপে খাপে
গানের ভিতর গান
কবিতার খাতায় কবিতা
অবচেতনে কিছু বিশৃঙ্খলাও
চাবি -বন্ধ করে রেখে আসি।
আরও গুছিয়ে নেওয়ার জন্য
চাই কিছু একান্ত সময়
কবিতার হাতে তুলে দেব
সেসব অস্ত্র যা দিনেদিনে
ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে
তোমাদের তোষামোদি সমাজের
অতি-সুসজ্জিত চিন্তাধারা--
আঙ্গুল তুলতে শেখো
নইলে
অন্য আঙ্গুল গুলো ঘুরে যাবে
তোমার দিকে ।
শুশ্রূষা
যদি প্রতিবাদী হই,
তোমার জন্য হব।
যদি শেষ পর্যন্ত দেখব বলে
এক-আকাশ ঝুঁকে থাকি
খাদের কিনারে,
তোমার জন্য হতে পারে--
যদি কবিতায় ঝলসে দিতে পারি
সমাজের স্থবির মুখ,
সবটুকু, তোমার জন্য।
চরমপন্থী একজন যদি
কারুর তোয়াক্কা না করে
ঘুরিয়ে দিতে পারে
সহস্র আস্তিন,
সেও...
শুধু যদি
তিলার্ধ
বোঝার মতন মন পেতে,
কিভাবে মেঘের পাশে
মেঘ বসে থাকে আচ্ছন্ন--
কেউ কাউকে ঢেকে দেয় না।
ঝোড়ো হাওয়া এলে
একসাথে এমন ভেসে যায়,
যেন ওরকম ই কথা ছিল।
নীলচে মেঘ ছিঁড়ে
বৃষ্টি জন্ম হলে,
দূর্বা হয়ে দোলে একসাথে
মাঠের পায়ে পায়ে--
তেমন-তর বাক্যহীন
একান্ত স্পর্শ হয়ে
ঝরে পড়ো
শুধু চাহনি নয়,
কাহিনীতে এসো।।
No comments:
Post a Comment