কবিতা
(লেখোনী)
তরুণিম মুখ
উজানের কেড়ে নেওয়া। কেড়ে নেওয়া নয়। ছেড়ে দেয় বুড়ো
মাঝি নৌকার গলুই। নদীর চর। মোতির বর্ম জ্বলে রাত্রির ফোঁটায়।
ফোসকা প'ড়ে যেথা অর্কিড ছোবলে।
জীবন ছুঁয়েছো তুমি। যোনিও ছুঁয়েছো। ধুতে শুধু
ভুলে গ্যাছো হরমোনতাপ। শাদা শাদা মুতের ফ্যানা।
এমন কায়দা ক'রে পাখিরা মূর্খ হয়।
কাচের আয়নাটাকে ভেবে নেয় ঘর। খড়ের মীর।
খরার জমিনে রেখে পৃথিবীর দুয়ার। দোকানপাট ফ্ল্যাট শুয়েছে
যত বিনিময় রোদে। আমার নিহত রাখো। আমার পড়েন আর
বাটখারা রাখো। আপ্রাণ চেষ্টা ক'রে মোড়ে মোড়ে বাজারে
বাজারে। আমি দোকানদার হ'য়ে যাই। পসরা সাজাই।
আমার স্মরণ নিও। আমার মরণ নিও।
আমাকে শাসিয়ে যেও মুঠোভরা পিস্তল ধ'রে।
স্বকীয় স্বভাব নিয়ে মারি আমি দৌড়। মারি আমি লাফ।
পিঠগুলো খ'সে প'ড়ে। নিখোঁজে সামিল হয়। খুঁজে পাই না।
মুখের উপরে কথা বলবার চেহারা। হাতঘড়ির সময় দেখে ভালমানুষ হ'য়ে
আছে। কথা ব'লছে না। আন্তরিক শরমগুলো রক্তবমি ক'রছে। কলমে
সাচ্চা হ'য়ে লিখছে তা ডাকপিওন।
ঠোঁটের দাম নিয়ে ট্রামের চলা। ট্রেকারে ট্রেকারে মাল মালামাল হ'য়ে আছে।
জাল করা সই আর তাল করা মুরগির। খেজুরের রস ভ'রে নববধূ গর্ভবতী।
যোনিতে জন্মেছো তুমি। জমিতেও জন্মেছো। ১রাত্রি
ম'রে যাবে আরামের আশ্রয়ে। দেহের কুন্তল ছড়িয়ে।
নারীর মুখ মোছে। নারীর বুক মোছে।
ভেজা দুধ শুধু দ্যাখায় না গামছার আবডাল।
মুখের বয়স বাড়ে। দাঁতেরও বয়স বাড়ে।
ঠোঁটেরও বয়স বাড়ে চুমোর আস্তানায়।
যে রোদে হরিণ চড়ে। সে রোদে বাঘও চড়ে।
অথৈ জলে শুধু চড়ে না হরিণ আর বাঘ।
ভালো থাকবার ষোড়শীমুখ। জোগানে ভালো থাকছে। ও মুখে মুখোশ দিলে।
মেকাপ দিলে। উপহিত বাসনা যাতনায় নেমে যায়। আমি কোন মুখ নিয়ে
তল্লাটে চ'লি। হেসে কথা ব'লি। আমারো মুখের কথা তরুণিমমুখে।।
আরো কিছু শিক
আরো কিছু শিক। আরো কিছু দুঃস্বপ্ন লোপাট হোক। হামবড়াদের প্রতিক্রিয়াশীল মেশিন আর। মোরগঝুঁটির লাল কেশবস্য উবাচ হয় কিভাবে। প্রকীর্ত্যা হয় অপ্রকীর্ত্যা কিভাবে তা ভালোভাবে লক্ষ্যণীয় হোক সকলের। এখন নিবিড় ঘুমের মেঝতে বালিশ শয়নাচ্ছন্ন। শোনাচ্ছেন কেউ ভিড় ভর্তি কাটাশব্দের উপকথা। উপকূল পাচ্ছে না যে কথা। বিটোফেনের কাগজে শাদা রোদ্দুরের সারা সকাল যে আলো পাচ্ছে না। সেখানে থাকছে না কবি। সেখানে থাকছে না কবিতা ব্যস্ত কিলোমিটারের উস্কানিতে। দিন যাচ্ছে নদীর কিনারে আমাদের নিঃসঙ্গ। নিঃসারিত স্মৃতিরা ফিরছেন। আবার স্মৃতিচারণা লোপ হ'চ্ছে মচ্ছবে। জীবনের কারসাজিগুলো পুরোদস্তুর সচেতন। কেউ তো মাথা হ'য়ে আঁশবঁটির মধ্যে নিজেকে কাটছে। যদিও ফাটছে তার হাঁ। হাতের দশাঙুলে সাজানো তালু যদিও ফাটছে। তবু বেঁচে থাকা বাক্যের শেষ চুপচাপ। মুখের মতন স্নায়ুরা মূক হ'য়ে গ্যাছে। হঠকারী ১ মুই এসে মুশকিলআসান ক'রে দিয়ে মুলতুবি রেখেছে মরজি। মেজাজ। মতলব। মোকদ্দমা অশরীরী আত্মায়।।
বিশ্বরূপ বিশ্বাস |
No comments:
Post a Comment