এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

অসীম মালিক




কবিতা




নাপিতের হাত

দাড়িটা কেটেই ফেললাম ,
              বাড়িতে যে রেজার ছিলনা --
                          তা তো একদমই নয় ।

সাবান ছিল ,ব্লেড ছিল ,দর্পণ ছিল
       শুধু নাপিতের হাত ছিলনা ।
                   বুকভর্তি বিশ্বাসটাও যেন --
                           অন্যের চোখে সমর্পণ ছিল ।

ঘড়ির কাঁটাটা সরেছে
             কিন্তু হাত সরেনি !

দাড়িটা সেলুনেই কেটে এলাম
        রেজার চালনা করার মত
                 আমার কোনও বিশ্বাস ছিলনা ।

আমার অসংযমী চোখদুটিও নাপিতকে দিয়ে এলাম ।





তিনটি জানলা
         
আমার ঘরের তিনটি জানলা ।

প্রথম জানলাটি খুললে
দেখতে পাই –
একগুচ্ছ ফুল ,
খিলখিলিয়ে হাসছে ।

দ্বিতীয় জানলাটি খুললে
দেখতে পাই
ফুলগাছে জমেছে
অস্থির সময়ের ধুলো ।

তৃতীয় জানলাটি খুললে
দেখতে পাই –
ফুলের পাপড়িতে
প্রজাপতির পায়ের দাগ ।

সব জানলাগুলি এক সঙ্গে খুললে
সারা ঘরময় খেলে আলো ।
যে আলোয় আমার ছায়া পড়ে
আমারই ঘরে ।

জানলার ফ্রেম -ফুল ও প্রজাপতির
সম্পর্ক তুলে ধরে ।


অসীম মালিক
পরিচিতি ::--হুগলি জেলার আরামবাগের এক প্রত্যন্ত গ্রাম শীতলপুর । এই গ্রামেই 14 ই জানুয়ারী , 1983 সালে এক দরিদ্র পরিবারে  জন্ম । জেদ এবং অধ্যবসায়ে ইংরেজিতে স্নাতক । বর্তমানে পেশায় একজন শিক্ষক । ছোটবেলা থেকেই লেখার প্রতি অসীম আগ্রহ ও হাতেখড়ি ।  আজ পর্যন্ত যা সচল । প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় কবি দেবাংশু চক্রবর্তী সম্পাদিত ' দ্য তথ্যায়ন' পত্রিকায় । প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'পেন্ডুলামটা দুলছে'।  যা 2008 সালে প্রতিভাস প্রকাশনী থেকে প্রকাশ প্রকাশ পায় । সৃজন , মানভুম সংবাদপত্র , ,আর্থিক লিপি , দৈনিক যুগশঙ্খ , ঈশ্বরকণা , শ্রীময়ী , বৈঠকি আড্ডা , শব্দ সাঁকো ,  কলেজস্ট্রীট , উদ্ভাস , সময় সংকেত এবং দৈনিক বজ্রকন্ঠ (ত্রিপুরা ),ধানশালিক (বাংলাদেশ ), প্রভৃতি পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে । প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশ এবং শক্তি চট্টোপাধ্যায় । লেখার অনুপ্রেরনা কবি ও ছড়াকার সাধন বারিক ।  ভালোবাসি ছবি আঁকতে এবং ভ্রমণে যেতে ।

No comments:

Post a Comment