কবিতা
প্রাক্তনের প্রতি
আমি আর নিয়মিত নই
মাঝে মাঝে আসি নদী পথে,
স্থির হতে পারিনি বলেই হয়ত
অস্তিত্ব টুকুও নেই ভালোবাসার।
এখনও বৃষ্টি হলে আমি ভুবনডাঙার মাঠে ছুটে যাই
তুমি নিশ্চই মাটিতে কান পেতে আমার
উন্মাদনার শব্দ শুনতে পাও,
পরিযায়ী পাখি উড়ে এল বসন্তে
আবার উড়েও গেল নিঃশব্দে।
দ্রুত বদলে যাচ্ছে শহরের পথ ঘাট
দারুন ভাবে আগলে রাখলে উদবাস্তুর ঘর
শুধুই ভরসায়, কল্পনায়
পূর্ণিমার চাঁদ দিঘির জলে যখন পড়ে
আঁতকে ওঠে মন, আবার যদি নবজাতক হই প্রেমে!
ভোরের বার্তায় অভিমানী মেয়েটা লিখেছে,
'রঙিন কাগজে মুড়ে রেখেছি বিষণ্ণতার উপন্যাস,
তুমি নেই সমুদ্রের পারের নুড়ি কুরিয়েছি
একা একা, থাক এটুকুই চলাচল, দিব্যি আছি দূরত্ব
বজায় রেখে'।
এখনও প্রেমের শিশির বিন্দু জ্বল জ্বল
অভিমানে হিমালয় গলে টিলা হয়ে যায়,
বেঁচে থাকার ছদ্মবেশ
দপ্তর পাল্টেছি কেবল
যেভাবেই হোক খুঁজে নিই কিভাবে ভালো থাকা যায়,
তবে খুব গোপনে দেখেছি ঝরে যাওয়া পাতা
ডুবে আছে হীনমন্যতায়।
অভিমান
আমার ভৌগলিক অবস্থান তুমি তো জানো
আমরা মানচিত্র থেকে কেউ আলাদা নই,
বারোটা বছর এক ছাদের তলায় পাশাপাশি আছি
নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ফস ফস শব্দ শুনতে পাই
চোখ বুজলেই।
এই মুহূর্তে দুজনের অবস্থান দুটো আলাদা দ্বীপে
উষ্ণায়নে গলছে বরফ, বিশ্বজুড়ে হৈ চৈ
অবহেলায় আমার পরিস্থিতি বরফের চাঁই।
নদী শুকিয়ে এল
নদী বুকে ভেসে উঠল মরা মাছ,
আধ বিঘা ধানখেতে
লাঙল চালিয়ে আবাদ করলে না আর কোনদিন
সেই যে বছর দশেক আগে শস্য তুলে রেখেছ ঘরে
তারপর থেকে আর মাটিই ছুঁয়ে দেখলে না
আমি আজও কতটা উর্বর।
মৃত্যুঞ্জয় রায় যাদবপুর, কলকাতা |
No comments:
Post a Comment