এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

জয়দীপ রায়




মুক্ত গদ‍্য




শূন্যের খোঁজে

রবিবারের সন্ধ্যের কথা। কাজ থেকে ফিরে সবে হেলান দিয়ে বসেছি দো পেয়াদা চেয়ারটায়। নামটা বলতেই পারো আমার দেয়া। সারাদিনের কামস্ঠ ক্লান্তি মুহূর্তের মধ্যে ঝেড়ে ফেলি ওর অসাড় বুকে। ওল্ড সেকনের গন্ধে তখনও মজিনি ভালো করে, কফির পেয়ালায় চুমুক বসিয়ে চলছে তখন লো লাইটের দুনিয়ায় শূন্যের খোঁজ। হিমুর রাস্বাদিত চোখে রসায়ন খোঁজার হিড়িক কুলু বন্দরের জীর্ণ টানেল বেয়ে অজানা যুবক এসেছে নিদ্রিত তপস্বীর তপস্যা ভঙ্গে। লাপাতাগঞ্জের ছেলেটার নাম দিয়েছিল নাকি ফেমোনাক্কি। অনাবিষ্কৃত অঙ্কের মাঝে মিলে যাওয়া উত্তর ইকুয়ালস টু সেই শূন্যের ভ্রুন থেকেই উৎপত্তি।

এমন নানা সমীকরণের অভিযানে টোটো মাফিক আরেকটা স্টপেজ ব্ল্যাক বোর্ডে তখন চলছে লসাগু’র বদলে অন্য অঙ্কের উত্তর, যারও শেষ শূন্যের খোঁজে।
গোধূলি জুড়ে তখন নেমেছে ঝালর সন্ধ্যে, এক যুবক ছোট্ট বিবৃতি যার আগমন স্থল সেই শূন্য থেকে। অস্থির আলাপন অনিদ্রা কি এর কারণ? এও কিনা বলছে এসেছে শূন্যের থেকে। একি আমারই সৃষ্টি? তবে এখনও তো মাঝপথে, শূন্য তো আসেনি তবে ও এসেছে, তবে কি আমারই মস্তিষ্ক প্রসূত ঘাম ‍? নাকি স্পার্ম থেকে অদৃশ্য এই যুবক ? যার সদোক্তি এসেছি শূন্যের থেকে তবে এ প্রমান সাপেক্ষ নয়। পেপার অয়েড সরিয়ে থিসিসের পাতা ধীরে ধীরে কাল পুরুষের হাত ধরে নিমজ্জিত তখন ঘরটা অন্ধকারে, নতুন হ্যাশকলে কার যেন ছোট্ট টোকা “কে কে এসেছ; স্যার আমি আমি স্যার ফেমোনাক্কি, শূন্য থেকে এসেছি”।

ম্যাথামেটিক্যাল অধিবর্ষ তখন পরিশেষের গল্প ঘোঁজে ব্যস্ত, কেউ জানেনা শেষে ফেমোনাক্কি কোথায় গেল
শূন্যেরই বা কি হল বোর্ডে করা অঙ্ক বা খাতার পৃষ্ঠা তখন শূন্য মেলেনি। বাকিটা রোমহর্ষ মাখা শেষের ট্রেলারে ট্রলার চেপে চায়ের কাপের শেষ চুমুকে পাড়ি দিল। বুড়ো মাস্টার দেওয়া নাম ফেমোনাক্কির খোঁজে।


জয়দীপ রায় 

বর্তমানে সাহিত্য চর্চা,
(এম এ) করছি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উত্তর কোলকাতার পাইক পাড়ায় থাকি ।কবিতা লিখতে ও পড়তে ভালবাসি। প্রিয় কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয় গোস্বামী।

No comments:

Post a Comment