কবিতা
একটি থার্ড ব্র্যাকেটের ভাট-কবিতা
[দ্রুতগতিতে আদিম হচ্ছি আমরা; সভ্য হতে আর যেটুকু অপেক্ষা।]
[এটি একটি থার্ড ব্র্যাকেটের কবিতা। বা বলা ভালো কবিতার
মতো থার্ড ব্র্যাকেট। এর পাখা বা ডানা কোনটাই নেই]
[মশা বা অন্য কারো জন্য আজ রাতে বিছানার ঘুম আসছে না।
মোবাইলের টর্চ ব্লাউজের উপর পড়ার আগেই ভাসমান হয়ে যাচ্ছে।
একটা আলোকবর্ষীয় ভাবনা এই কবিতার লিভার।]
[চাঁদের একটা ফালি দেখা যাচ্ছে। কিছুটা জং-এর গুঁড়ো।
তান্ত্রিক মতে তারাও যা আন্ত্রিক মতে আমাশয় বা মৃগী রোগটাও তাই।]
[ এই পৃথিবীর নীচে একদিন আমরা ধর্মচক্রে বসব।
নিজের নিজের মূর্তি বানিয়ে পুজো করবো, তারপর চুমু খাবো।
কারন চৈত্র মাসে জামাকাপড় পড়তে নেই।]
[ তাহলে আমরা সেই বৃত্তে ফিরে এলাম।
এই Construction এর বাইরে হলেই Deconstruction.
পরমপুরুষ, আই'ম কামিং বেবি। ]
[ আরেকটু এগোলেই সেই বিখ্যাত শস্যাগার। রাখালদা একবার
বেড়াল চড়াতে এসেছিল এখানে; পাশেই ছিল বিখ্যাত সেই স্নানাগার।
ঝাঁপ মেরে মাছ হয়ে গেল। আর কবিতা হওয়া হল না।]
[ আর দ্যাখে বড়ো বড়ো আকাশ, অনেকগুলো ব্যষ্টিগত নক্ষত্র
তাদের জং নেই। একটাও চাঁদ দেখা যাচ্ছে না।
শুধু অনেকগুলো লিভার খাবার খুঁজছে। ব্যাস!]
হাংরি
"অজো নিত্যঃ শাশ্বতহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।।"
গাঢ় নীলিমার নিস্তব্ধ কোনো অদিতির বুকে
নির্জন রৌদ্র চেঁটে আমি সময়ের বিরুদ্ধ লিঙ্গ
প্রবেশ করাবো উন্মুখ পতঙ্গের যোনিতে......
মৃত্যুহীন ফসলের বুনন ঘেঁটে
সুড়ঙ্গলালিত ধূলোর কঙ্কাল
প্রকৃতির সান্ত্বনা অথবা রজঃরেণু
বৈকালিক ইন্দ্রলুপ্তির
পথে পথে গভীর রাতে মৃদু তরঙ্গের আলোয়
ত্রিংশতি কাল যুঝবে না হয়তো কাব্যশরীর
ধীন রূপ আধ্যাত্মিক স্পর্শ থেকে
তা রূপ জাগতিক স্পর্শে অন্তলীন -
আকাশে আমার ভাগ্য ছুঁড়েছি
প্রিয় অনুভূতিদের উহু আহা..........
দুপুরবেলার তাভা কবিতা ভেজে দাও
কান্ড বিদীর্ণ করে দাও সেলুলোজ
আমি আকাশ হাতে হেঁটে যাই ধুলোগ্রামে......
সৌরভ বর্ধন শান্তিপুর, নদীয়া |
No comments:
Post a Comment