এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

আরিয়ান প্রিয়স




কবিতা




স্বর্ণচাঁপা

নারীর রূপে আমার আকৃষ্টতা প্রাচীন।
বিশেষ করে তাদের মুখমণ্ডল।
নারীর মুখের চেয়ে অনবদ্য শিল্প কিছু নেই।

মাঝে মাঝে অদ্ভুত অনুভূতি মনে দানা বাঁধে... যা কেবল স্বপ্ন সীমাবদ্ধতায় সমাপ্তি হয় না৷৷
নিতান্ত হ্যাংলার মতো তার স্পর্শ পেতে চায়৷
তার গভীর ভর্ৎসনা-পোড়া চোখের ক্রোধ সহ্য হয়ে ওঠে৷
যা অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেখি কোনো পার্শ্ববর্তী নদী, লেক কিংবা জলাশয়ের মতো কোমল হৃদয়ে৷

এর চেয়ে সম্পূর্ণ গোলাপ কিংবা অনবদ্য গাঢ় স্বর্ণচাঁপা
আমার মানুষ জন্মে আমি আর কোথাও দেখিনি,
এর চেয়ে শুদ্ধ শিল্প, সম্যক ভাস্কর্য কিংবা অটুট নির্মাণ
মিউজিয়াম, চিত্রশালা আর ইতিহাস-প্রসিদ্ধ কোথাও
আমি তো পাইনি খুঁজে!

কী করে বলবো বলো নারীর
মুখের চেয়ে দর্শনীয় প্রকৃতি প্রমান
কী করে বলবো আমি নারীর মুখের চেয়ে স্মরণীয়
অন্য কোনো নাম!!




বিস্মৃতি

দুই একটা জোনাকি
বুকচিরে রক্ত ঝরায় রাস্তার ধুলোয়,
প্ল্যাটর্ফমের রড বেয়ে তখনও নির্বোধ অনুতাপ
চুঁইয়ে পড়ে..
আমার চিবুক দিয়ে সহস্র ঘাম
নেমে চলে নিজেদের লক্ষ্যের পথে।
নির্জীব স্ট্রিট লাইট পিছিয়ে পড়ে কুয়াশার ঘোরে,
ক্লান্ত শ্যাওলার দল ভেজে শিশিরের জলে....
আমি তোমার কান্নার শব্দ
স্পষ্ট শুনতে পাই....
তখনও ঝিঁঝিঁর ডাক শোনাচ্ছে ঘন ঝোপের দিকে,
অামি হেঁটে চলেছি বিষপথ ধরে,
নক্ষত্রলোকের উদ্দেশ্যে ।
আর পেছনে চলেছে নির্বাক প্ল্যাটর্ফমে ফেলে যাওয়া স্মৃতির দল। ....




অবিমৃষ্য

কাছেই ছিল সেই গতিপথ
ইচ্ছে মতো জড়ায়,
অনেক কথার হয় না যতন
চির ধরে শিরদাঁড়ায়।।

কোথায় কখন দিন ফুরাবে
বোঝার সাধ্যি কই
বিরোধ তখন ঝামড়ে পরে
সমান অনুপাতেই।

দিন দশকের প্রভাব পরে
এসব তোমার  জানা,
প্রশ্ন করো, তার প্রতিবাদ
ধারাবাহিক কিনা ।।

শক্ত করে অস্ত্র ধরো
আঘাত করো কষে
লিখতে বসে তফাৎ কেন
শালীন শব্দ দোষে

মুখে যদি সেলাই আঁটো
বদ্ধ হবে কথা,
তাবে অসংযত পরিস্থিতির
এটাই তো সমঝোতা ।।

সময় এবার ফুরিয়ে আসে
প্রবাহ পথের দিশায়
তুমি তবে চাওনি বিচার
বিরোধ সাম্প্রদায়িকতায়. . . .


*****

No comments:

Post a Comment