এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

সুদীপ ব্যানার্জী




কবিতা




গলি পাল্টাও মানবছানা


                        (১)

চেনা রাস্তার বাস স্টপেজ ইদানিং অভ্যাস !
নাড়ি ছিঁড়লেও হাত বাড়ালেই কাছে ডাকে।
বহুবার এইভাবে নেমে যাওয়া যায়,
অপেক্ষায় না ওড়া হাউই গতিতে।

গন্ডির মধ্যেই ঘুরছি আমি,পৃথিবী, গোলচক্কর...

দাগ কেটে এপার ওপার।
অপটু হাত।অমসৃণ। খরখরে।
তিনদিনের আকাটা গাল পুরুষের।

বক্ররেখায় চোখ পড়েছে যবে থেকে,
জ্যামিতি শেখাচ্ছেন স্যার...
এক্সট্রা, পরিমিতি, অথবা
দুরূহ দ্রাঘিমার ভগ্নাংশ।
কম্পাসের কাঁটা বুকে বিঁধছে না আর...

প্রতিটি বাগানের পরিসীমা বরাবর
পারাপারের রাস্তা ছোট হয়ে এলো...
পাঁচিল মানেই স্থির গ্লোব এঁকেছি একার।

চকের সাদা গুঁড়ো শান্তি মাখাক
পতাকার দখল কালো বুকে...
ডলে ডলে খুব আদরে, সস্তা রাস্তানাটকের কুশীলব,
এ পাড়া পেরিয়ে পরের স্টপেজে বাড়াচ্ছি পা।

জ্বালানিহীন গন্ডির হ্যান্ডেল টেনে টেনে...


                          (২)

ছাল ছাড়িয়ে নুন। গুটিয়ে গ্যালে জোঁক।
মেরুদন্ড ক্যালসিয়াম খায়নি।পাহাড়ের খাড়াই বুড়ো হচ্ছে অস্ক্রীণটাচ মোবাইলের টেপাটিপিতে।ঝুঁকে যাচ্ছে রোমান্টিক ব্রিজ, বিল্ডিং,শুচিবায়ুগ্রস্ত ছায়াপথ।সল্টেড চোখ প্যাকেটে ভরে লোগো ছেপেছি ---"ক্রুকড",দানা দানা,মসালা।পাব্লিক আর ব্যাঁকা মদনা ছিটিয়ে ডাকে না।কার্ভি মাসল,ঠোঁট আর প্যাকাটি যুবতী ঝুলছে গেঞ্জী আর জিন্সের মাঝে।গ্রস্ত উপত্যকা।তবে খোঁজা যায়না।ছোট্ট দুই টিলায় ছোটনাগপুর মালভূমি ফুটছে বডিজ ভূগোলে।কেউ উঁচু মাথায় বাইফোকাল লাগায় না।হাফসোজা কিংবা হাফবৃত্ত। বল ছাড়তে টেকনিক লাগছে না।মুখ গুঁজে রক্ত পেটে আঁকড়ে আছি খলবলে মাটিতে।স্কোরবোর্ড এগোনোর দায় ননস্ট্রাইকারের। মেরুদন্ড বাদ দিয়েছি অ্যাপেনডিক্সের ব্যথায়।


সুদীপ ব্যানার্জী

ধণিয়াখালি, হুগলী

No comments:

Post a Comment