এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

নন্দিনী সাহা




কবিতা




এলোমেলো

তুই এখনও আড়ি ভাব খেলিস!
ছবির সাথে, হাওয়ার সাথে, গানের সাথে!
বেশ অবাক লাগে-
আর আমার সাথে?
তুই সময় করে বলিস;
আমার তাড়া নেই।

আমায় বিহ্বল করে তোলে
এই ছেলেখেলা, আর একজোড়া
বাদামী চোখ।
তাই এত কোলাহলে;
আমি, ভেসে থাকা
একরাশ নির্জনতা।
কখনও কি হবে দেখা
তোর 'চাওয়া' আর আমার 'ইচ্ছা'-র?
মিলন হবে কি ভ্রমর আর গুঞ্জনের?
ভিজে মন...
ক্লান্ত অন্যমনস্কতা..

আজ ঘণ্টা এল, মিনিট এল, বিকেলও এল,
কিছু ছেলেমানুষিও ভিড় করল;
শুধু এলি না তুই!
রইলো পড়ে, বোবা উৎকণ্ঠা.. কিছু অপেক্ষা..
সময়ের কোলে,
নীরবতার নিবিড়ে।
ঘুমের প্রান্তে দ্বন্দ্ব করে
গোলাপী মলাট,
আর, তোর চাহনির দিকে চেয়ে থাকা-
আমার
ধোঁয়া ধোঁয়া অবিশ্বাস!




মন বসন্ত

হঠাৎ আলো নেমেছিল;
স্বর্গীয় অনুভূতির আলো।
নিশ্চুপ ঠোঁট, শান্ত চারদিক,
শেষ বিকেলের আদুরে হাওয়া
শুধু একটু দুষ্টুমি করে ,
মেঘ হাঁকানো প্রকৃতির সাথে...
পাতার মর্মর শব্দও
         এতটা আনন্দ বয়ে আনে?
সেইজন্যই হয়তো পাতা ঝরে,
প্রতি বসন্তে শিমুল ফোটে,
মুঠো মুঠো অশোক তাকিয়ে
         মৃদু হাসে।
এরই মাঝে কখন ঝুপ্ করে বসন্ত নামে
মনের ভিতর, পাতাঝরার মরসুমে
পলাশ কুড়িয়ে চলবার ফাঁকে।
নিজের লেখা একটা কবিতার মত লাগে
              ' সময়টা '।
ঘুঙুরের শব্দ, বাউলের সুর, মেঠো গন্ধ,
সোনাঝুরির কোলে নামতে থাকা সন্ধ্যে,
কেমন মায়াবী লাগে...
মুহূর্তরা ফিসফিসিয়ে বলে চলে -
এখানে ভালোবাসা পাওয়া যায়।
ওই দূরে হ্যারিকেনটা ঝুলছে,
নক্সাকাটা লাল নীল রঙের ভিড়ে
         হলদে আভায়।
ওর চারধারে গোল হয়ে বসে আছে;
অনেক না বলা কথা,
আর -
নিঃশব্দে ঘটে যাওয়া কবিতারা।


****

নন্দিনী সাহা
স্নাতক তৃতীয় বর্ষ
রসায়ন বিভাগ
বিশ্বভারতী

No comments:

Post a Comment