কবিতা
কবিতা
তোর জন্যই আবারও কবিতা লিখি,
নষ্ট কিছু সময়, আর
না পাওয়া মুহূর্ত নিয়ে।
মাঝরাতের মিথ্যে ভাবনা
ভোরবেলার ফেলে আসা আমরা।
মাঝে মাঝে ছন্দ কেটে যায়,
পায়ে পায়ে ব্যবধান বাড়ে,
আহত হয় স্বপ্নেরা-
তবু দুহাত ভরা গুলঞ্চের ফাঁকে
তোর মুখ ভেসে ওঠে।
তোর জন্যই আবার-
অবাধ্য হয় ইচ্ছেরা,
পুরোনো চিঠির ভাঁজে, তোর গন্ধ পাই।
নিঃশ্বাসে, তোর নিঃশ্বাস
উষ্ণতা ওষ্ঠ-অধরে,
ফিরিয়ে নিয়ে যায়,
স্মৃতির শহরে।
যেখানে ক্লান্তির সন্ধ্যে নামে না -
ব্যস্ততা কেড়ে নেয় না রিংটোন,
ভালোবাসার হাত ধরে শালবীথি।
বসন্ত
রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা
একটা শুকনো গাছ,
সেও হঠাৎ মাথা দুলিয়ে ওঠে -
যখন দেখে তারই শাখা বেয়ে
প্রস্ফুটিত হয়েছে প্রথম হলুদ পলাশ l
বুঝতে পারে বসন্ত এসেছে!
মৃদুমন্দ হাওয়ায় যখন
গন্ধ মেশে প্রথম আমের মুকুলের -
তখন উত্তলা হয় দক্ষিণের বাতাস ও,
বোঝে বসন্ত এসেছে!
শালবীথির রাস্তাটা সাক্ষী হয় যখন,
কিশোর কিশোরীর লজ্জাবনত প্রথম প্রেমের -
বুঝতে পারে বসন্ত এসেছে!
আমি ভাবি আনমনে,
বুঝি এমনটা হলে বসন্ত আসে
নাকি হতে পারে উল্টোটাও!
বারবার মনে হয়
বসন্ত এলেই
কেমন যেন তুই লেগে থাকিস গায়ে,
হওয়ার মত থাকিস আমার চারপাশে।
বসন্ত এলেই
কেমন ভিড় ক'রে আসে কবিতারা,
এলোমেলো হয় শব্দ।
বসন্ত এলেই
হারিয়ে যায় বিপরীত শব্দগুলো,
সুন্দর হয় চারদিক-
হারিয়ে যায় আমার
রাগ অভিমান ক্রোধ।
সুপর্ণা ঘোষ |
গণিত বিভাগ
স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী
শিক্ষাভবন, বিশ্বভারতী
No comments:
Post a Comment