এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

অহনা সরকার



কবিতা
(লেখা)




সিন্থেসিস

উপলক্ষ্যের শহর থেকে ধার করে আনা ব্রিজ। বরফ পড়ছে।
ঘুমন্ত বিদ্রোহে জেগে শুধু কিছু সীল মাছ।
বিদায় শেষে পাখি কম্পাস আর নারী
ওরা বলেছিল
ভালবাসা আসলে নদীর দূরাবতী গান। মার্বেলের গায়ে
মোম ছায়াটা সুরা হাতে।

শ্মশানশেষে স্বপ্নকথা। ছড়া ছাড়া আর কি বা মনে
রাখে
আঙুরবিষে নির্বোধ কোলাজ।

শোনো!
সেতারে উল্লাস বাজছে। জীবনানন্দের সাথে
সমগ্র সফোক্লেস ফ্রি; হোমার, বায়রন, অ্যাসিটোলন চেম্বার।
নীল মুছতে মুছতে বাকিটা লিখে চলে আফরোজের ঘোড়া।
আর ইউ হাংরি?





টহল

মৃত পুরুষ। মরণোত্তর পাশ
শ্রাদ্ধ শান্তি মিটিয়ে
জড়িয়ে নিলে তুমিই বলে ওঠ! কাকাতুয়া কথা
শিখছে

কাঁচের দরজা ঠেলে বেরিয়ে আসছে অসুখ। বুকে, ডান হাঁটু কোমর মাছিরা ভাগ বসিয়েছে দরাদরি। এখানে কোন গোলাপক্ষেত নেই। কাঠবাদামের শিশু মেরুন বাইপাসে
খেলতে খেলতে নদী একসময়

কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কথা মনে আছে? সেই যে
যেখানে অনেক উঁচু উঁচু! গা বলে বলে একসময় আমরা ফটো ফ্রেম হয়ে গেলাম

কাঁচের দরজা। অভ্যাস ঠেলে বেরিয়ে আসা মানুষটি মৃত।
ডান কানে কিছু জরুল। গাছ পুঁতবে বলে বাকিরা
বাড়ি বয়ে ফেলে গেছে

শরীরের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিতে নিতে জড়িয়ে ধরছি পা।
আত্মঘাতী টহল



*****


1 comment: