এখন তরঙ্গ তে লেখা পাঠান প্রতিমাসের ৫ থেকে ২০ তারিখ অবধি

অর্ঘদীপ পানিগ্রাহী




কবিতা



উৎসর্গীকৃত

বিশ্বায়নের গতিজাড্য চুকিয়েছে স্বাদ - সাধ,
কর্মহীন জীবন জুড়ে তখন উন্মত্ত আবেশ
উদ্বাস্তু প্রেম অসাড় মনোনিবেশের মরীচিকায়;
এটাই বুঝি ডিপ্রেশন নাকি ইমোশনাল ইলনেস ?

তুমি ছিলে আশেপাশে, নিশ্চল নীরব নীহার রেখায়-
ছুঁতে গিয়ে কষ্ট ফিরিয়ে, ঢেকে গেছি নিরাশায়..
আনমনে হিসেব নিকেশ, শব্দগুলোর দেনার দায়
এটাই বুঝি ডিপ্রেশন নাকি ইমোশনাল ইলনেস ?

বর্ণহীন ভালোবাসারা - বুকের আগলে চুপকথায়,
প্রেমের বিচার পাপ পূণ্যে? নাকি হবে ইশারায়?

শরীর জুড়ে ক্ষত'র জ্বালা, তুমি ভাবলে নিজের কথা..
গভীর রাতে জেগে ও দেখ, তোমায় নিয়ে ভাবছে কেউ,
কষ্টগুলো কবিতায় মুড়ে, কমে নি তাও ঈষৎ ব্যথা;
এটাই বুঝি ডিপ্রেশন ! নাকি ইমোশনাল ইলনেস ?

অভিমানের পাহাড় বুকে, বেঁচে আছি তোমার আশায়,
চল না ভেসে মেঘের ভেলায় ,কষ্ট মুছে ভালবাসায়...




একটি হাসির কবিতা

হাসছে দেখো হাসছে সবাই , হাসছে কেমন লাগামছাড়াই ,
হাসতে গেলে ট্যাক্স লাগে নাকি ? হাসাচ্ছি তাই হাসছে সবাই ,
বুক উঁচিয়ে বলছে শেয়াল মজার একটা গল্প বলি ,
সে গ্রামে দুটি বিচ্ছু ছিল বিট্টু আর একটি বাবাই ।

দিন দিন সব পাহাড় প্রমাণ  অভিযোগ জমে দুয়ারে সেথা ,
কারও বাড়ির ফুলের বাগান ; কারও আবার পুকুরের মাছ,
কারও যায় বাড়ির টালি ; কারও আবার জানালার কাঁচ ,
সব কিছুতেই দাপট বাড়ে , সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যে সাঁঝ l

রে রে সব পালিয়ে বাঁচে , রাস্তা খোঁজে সবাই মিলে,
কি করে যে জব্দ হবে ? কি করে বা পরিত্রাণ ?
ডাক পড়ে সেই আমার জানো ? আমি হলাম শেয়াল রাজা ,
আঁধার রাতে আমিও গেছি ; আনব তুলে ফন্দি আঁটি l

কি বলব ভায়া ? কি আর বলি? এ দুঃখ শুনলে
তোমার কষ্ট পাবে আমার চেয়েও , পাশবালিশ
করেছে জানো দুজনে মিলে আমায় ধরে , গোঁফ
এঁকে দেয় কোলতারে , এই যে দেখো গায়েও আমার

রঙ দিয়েছে ভুত করে , এমন বিচ্ছু দেখি নি আগেও

এ জীবনে আর একটাকেও , সেদিন থেকে হেলায় আছি

কেউ নেয় নি আমায় দলে , খাচ্ছি খেটে এই চলে যায় ,

ভাবছি কবে পেরাব পথ ..

সব হারিয়ে হাসাতে এলাম , হলাম দেখুন ইমোশনাল ;
সব হাসিতে হাসিও নয় ; থাকুক একটা আহত শেয়াল l


অর্ঘদীপ পানিগ্রাহী

No comments:

Post a Comment