কবিতা
ভার্চুয়াল পিংপং
ধরে নেওয়া যাক, তোর তুমুল প্রেমে পড়ে গেলেন শ্রী রাধিকা দেবশর্মা
ধরলাম কারণ তোর বলিষ্ঠ কবিতার সমুদ্রবুকে তোলপাড় ডুবে
যাওয়া ছাড়া কোন ভিন্ন পথ ছিলো না বোধহয় !
তুইও রমনীমোহন, বুঝি তক্কে তক্কেই ছিলি!
শিকারি বেড়াল যেভাবে মাছের গন্ধে চেটে নেয় স্বাদকোরক জিভের।
বল্লি, প্রেমিকার চোখে থাকে সর্বনাশের বীজ, বুকে থাকে দ্রাক্ষারসের ভাঁড়
#
দ্যাখ, প্রেমের বহর দেখে অকাল বসন্ত জন্মালো ঋতুর ভ্রুণে
বিনোদিনীর বুকে তখন ডাকে সুখের কুহক
রাত জাগা ম্যাসেজ বক্স ভরে গ্যালো মাংসে মাংস গলার শব্দে
দুজোড়া প্যাঁচার মতো জুলজুলে চোখে সেঁটে রইলো মোবাইল নীল স্ক্রীনে
ভিডিও মোডে পেঁয়াজের খোসা ছাড়াবার মতো ঝরিয়ে ফেলা গ্যালো
উভয়ের শরীর প্রদেশের সুতো।
ঘেমে উঠলি ১৪০ কিমি দূরে বসেও এক গনগনে উত্তাপে!
চট করে মেপে নিলি পাশের ঘরে বউয়ের নাক
ডাকার শব্দের ডেসিবল! নিশ্চিত হয়ে ফিরে
এলি ধাতব শীৎকারে...যথা সম্ভব রাগোন্মোচন করা গ্যালো,
তুই যথার্থই কবি
কবিতার খাতায় নাম দিলি প্রেমিকা ও অর্গাজম।
#
অসম্ভব চোঁয়া ঢেকুর? দাঁতের ফাঁকে আটকে পুরাতনি
মাংসের সেসব বিস্বাদ?
হুম হুম কবিতা আসছে না তো! জব্বর একখান নতুন প্রেমের খোঁজে
দিনরাত সবুজ আলো জ্বালিয়ে খুঁজতে থাকলি বোকাসোকা বধূপ্রেম।
আমাদের রাধিকাও বুদ্ধিমতি।
পথের দিকে বিছিয়ে রাখলেন বুকের রঙ্গোলি
অভিসারের নুপূর খুলে রেখে
সুরুৎ করে স্বামীর বুকে ঢুকে দেখে নিলেন মাটির উর্বরতা।
রুদালি
এ জন্মে তেমন কিছুই হল না। না সেমত রচনা, না সুনির্দিষ্ট কর্মযজ্ঞ । কোন পরকিয়ায় দাঁড়িয়ে সাহসী চুম্বন ছুঁড়ে দেওয়া হলনা সমাজের দিকে। স্মরণীয় হবার মত কিছুই করে ওঠা হলনা এযাবৎ। কী করে যে কেটে গেলো বেশকিছু কবিতাবছর! আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা দিতে গিয়ে যোগ্যতা নিলামে ওঠে...সবই ভুলভাল পথে হাঁটা! খাতার শরীরে ঝুঁকে পড়ে ভেবেছি আমি অক্ষর জাগাতে জানি, নিথর পাতায় ঝঞ্চাসহ মেঘের যাবতীয় সম্ভাবনা লিখতে জানি, বিদ্যুৎ তরবারির আঘাতে ফালা ফালা করতে জানি অজস্র অশনিসংকেত। শুধু কোন ডানা নির্ভর পাখি লিখতে পারিনি এতকাল।
যে উড্ডীন পাখি আকাশ এবং মাটির সংযোগ গড়তে জানবে।তারপর একদিন ডানাফুরালে কোন এক বৃক্ষমাতার কোটরে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে স্তব্ধ হয়ে যাবে কোন রকম অক্ষয়চিহ্ন না রেখেই শিল্পের মহার্ঘ্য যাত্রায়। কবিতার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিগত পুরুষটির চোখে চোখ রেখে বলেছি, অনেক তো হল যুদ্ধ-টুদ্ধ, নাও এবার মৃত্যু লিখে দাও।এবার নতুন কোন শৃঙ্গার শেখাও মৃত্যু যাত্রাকালের। দেখলাম মৃত্যু এবং মুক্তি শব্দদুটির সমরৈখিক অবস্থানে। দেখলাম জীবন-মৃত্যু নামক শব্দগুলো ভীষণ ঠুনকো । কবিযোগ্যতার চেয়েও হালকা, ভবিষ্যৎ গড়ার চেয়েও স্থূল।দেখলাম আমি জীবন লিখতে কবেই ভুলে গেছি আবার মৃত্যু লিখতেও অসফল একটি মানুষ। আসলে মানুষের মৃত্যু সরল শাব্দিক নয়, সে এক সুসংবদ্ধ পন্থায় সমৃদ্ধ। বহুদূর থেকে শোনা যাবে তার আসন্ন পদচারণ, মঞ্চ থেকে মঞ্চে ছুটে যাবে দরদী ক্রন্দন রোল, সামাজিক শোকার্তকে হতে হবে সেইমত রুদালি।
প্রতীক্ষা ...প্রতীক্ষা ...প্রতীক্ষায় …
এ জন্মে তেমন কিছুই হল না। না সেমত রচনা, না সুনির্দিষ্ট কর্মযজ্ঞ । কোন পরকিয়ায় দাঁড়িয়ে সাহসী চুম্বন ছুঁড়ে দেওয়া হলনা সমাজের দিকে। স্মরণীয় হবার মত কিছুই করে ওঠা হলনা এযাবৎ। কী করে যে কেটে গেলো বেশকিছু কবিতাবছর! আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা দিতে গিয়ে যোগ্যতা নিলামে ওঠে...সবই ভুলভাল পথে হাঁটা! খাতার শরীরে ঝুঁকে পড়ে ভেবেছি আমি অক্ষর জাগাতে জানি, নিথর পাতায় ঝঞ্চাসহ মেঘের যাবতীয় সম্ভাবনা লিখতে জানি, বিদ্যুৎ তরবারির আঘাতে ফালা ফালা করতে জানি অজস্র অশনিসংকেত। শুধু কোন ডানা নির্ভর পাখি লিখতে পারিনি এতকাল।
যে উড্ডীন পাখি আকাশ এবং মাটির সংযোগ গড়তে জানবে।তারপর একদিন ডানাফুরালে কোন এক বৃক্ষমাতার কোটরে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে স্তব্ধ হয়ে যাবে কোন রকম অক্ষয়চিহ্ন না রেখেই শিল্পের মহার্ঘ্য যাত্রায়। কবিতার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিগত পুরুষটির চোখে চোখ রেখে বলেছি, অনেক তো হল যুদ্ধ-টুদ্ধ, নাও এবার মৃত্যু লিখে দাও।এবার নতুন কোন শৃঙ্গার শেখাও মৃত্যু যাত্রাকালের। দেখলাম মৃত্যু এবং মুক্তি শব্দদুটির সমরৈখিক অবস্থানে। দেখলাম জীবন-মৃত্যু নামক শব্দগুলো ভীষণ ঠুনকো । কবিযোগ্যতার চেয়েও হালকা, ভবিষ্যৎ গড়ার চেয়েও স্থূল।দেখলাম আমি জীবন লিখতে কবেই ভুলে গেছি আবার মৃত্যু লিখতেও অসফল একটি মানুষ। আসলে মানুষের মৃত্যু সরল শাব্দিক নয়, সে এক সুসংবদ্ধ পন্থায় সমৃদ্ধ। বহুদূর থেকে শোনা যাবে তার আসন্ন পদচারণ, মঞ্চ থেকে মঞ্চে ছুটে যাবে দরদী ক্রন্দন রোল, সামাজিক শোকার্তকে হতে হবে সেইমত রুদালি।
প্রতীক্ষা ...প্রতীক্ষা ...প্রতীক্ষায় …
সোনালী মিত্র |
No comments:
Post a Comment